বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফে ৭ লাখ টাকা মালামাল নিলামে সর্বোচ্চ ডাককারি স্থল বন্দরের বিশিষ্ট আমদানি ও রপ্তানি কারক সিআইপি ওমর ফারুক টেকনাফের নিকটবর্তী মিয়ানমারের ‘লালদিয়া’ নিয়ন্ত্রণে তীব্র সংঘাত : গুলি আসছে স্থলবন্দর ও আশে-পাশের এলাকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রামুতে বড় ভাই হত্যা মামলায় ছোট্ট ভাই গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ এক রোহিঙ্গা আটক সৈকতে নারী হেনস্তাকারি ফারুকুলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর গোয়ালিয়া পালংয়ে বণ্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১১০ পরিবারে আমির আলী সও: গোষ্টির ত্রাণ সহায়তা কক্সবাজার থেকে ঢাকা নেয়া হল যাত্রাবাড়ির থানার সাবেক ওসিকে টেকনাফে ১০ কেজি স্বর্ণ সহ দুই রোহিঙ্গা আটক যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফে গ্রেপ্তার

থানা ভবনে উঠে কিশোরের আত্মহত্যার চেষ্টার নেপথ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের কিশোর ওসাইমিম ফেসবুকে ২০২০ সালের মাঝা-মাঝি সময় খুঁজে পায় সুবাহা নামের একজনের। যিনি নিজকে পরিচয় দেন ওসাইমিমের সমবয়সি হিসেবে। পরিচয় এবং ফেসবুকে আলাপনের সূত্রে হয়ে উঠে প্রেম। ওসাইমিমের দাবি, সুবাহা তার প্রেমিকা। বাড়ি নারায়নগঞ্জ জেলার হাজিগঞ্জে। কিন্তু সুবাহা তার নিজের পিতা দ্বারা যৌন নীপিড়নের শিকার। যার করে পিতা-মাতার বিয়ে বিচ্ছেদও হয়েছে। তারপরও থেমেনি যৌন নীপিড়ন। যার এক পর্যায়ে ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ আত্মহত্যা করেছে সেই সুবাহা।

কিন্তু সুবাহাকে ফেসবুকের সুবাদে আলাপন হলেও বাস্তবে সামনা-সামনি দেখেনি ওসাইমিম। সুবাহার আত্মহত্যার কথা সে কোথায় বা কিভাবে নিশ্চিত হয়েছে তাও বলতে পারেনি। তবু তার ভেতরে শুরু হয় আত্মজ্বালা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলে বন্ধুদের সাথে, পিতা-মাতা, পরিচিতজনের সাথে। কেউ তার সমাধান দিতে পারেনি। কিন্তু ওসাইমিম ‘সুবাহা’ হত্যার বিচার চায়। বিষয়টি জানাতে চাই পুলিশকে। কিন্তু কেউ তাকে সহায়তা করেনি। এর জন্য ওসাইমিম কক্সবাজার সদর থানা ভবনে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টার পথটি আবিষ্কার করে। আর তার সাথে পুরো ঘটনাটি লেখে রাখে একটি কাগজে।

শুনতে গল্পের মতো মনে হলেও এটি ঘটেছে কক্সবাজারে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভবনে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টা করা কিশোর ওসাইমিমের গল্পটি।

যদিও কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস কৌশলে ওই কিশোরটি রক্ষা করেছে। রক্তাক্ত উদ্ধার করে ভর্তি করে দিয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। ইতিমধ্যে ওই কিশোরের লেখা কাগজটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। যা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস।

কক্সবাজার শহরের একটি স্কুলের ছাত্র ওসাইমিমের বিষয়টি নিয়ে এখন প্রতিবেশি সহ সকলের মাঝে চলছে নানা আলাপ। তবে নারায়নগঞ্জ জেলার হাজিগঞ্জে পহেলা বৈশাখ সুবাহা নামের কেউ আত্মহত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নারায়নগঞ্জে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। তাহলে ফেসবুকে ‘সুবাহা’ কে আর আত্মহত্যার গল্পটি কেন বা বলা হয়েছে ওসাইমিমকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888